টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। শুরুটা যদিও ভাল ছিল না টাইগারদের। তবে বাঘের বাচ্চা আফিফ হোসেনের ৭ চার ও
৩ ছক্কার ফিফটিতে ৫ উইকেটে
১৫৮ রান করে বাংলাদেশ। শুরুতে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল স্বাগতিক দল আরব আমিরাত।
দুবাইয়ের
ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নুরুল হাসান শোহান, ইয়াসির আলী ও লিটন দাস
।
দুই
ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সংযুক্ত
আরব আমিরাতের অবস্থা হয়েছিল খুবই খারাপ। বাংলাদেশকে প্রায় হারের শঙ্কায় ফেলে দিলেও শেষ পর্যন্ত ৭ রানের জয়
নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ টাইগারা ।
টসে
হেরে ব্যাটিংয়ে ওপেনিং
জুটিতে মেহেদী মিরাজ ও সাব্বির। ফলাফল
জিরো। মেহেদী মিরাজ ১৪ বলে ১২
রান করে আউট, সাব্বির ৩ বলে ০
রান, লিটন দাস ৮ বলে ১৩
রানে ইনিংসে ছিল দুটি চারের মার। এরপর আলো ছড়ান আফিফ হোসেন । আফিফের ইনিংস
ছিল উপভোগ করার মতো। তার ইনিংসে ৫৫ বলে ৭৭
অপরাজিত, ৭ টি চার
ও তিন ছক্কায় স্টাইক রেট ১৪০ । ইয়াছির আলী
৭ বলে ৪ রান। মোসাদ্দেক
হোসেন ৮ বলে ৩
রান। নুরুল হাসান সোহান ২৫ বলে ৩৫
রান করে অপরাজিত। তার ইনিংসে ছিল দুটি চার ও দুই ছক্কা।
আফিফ ও সোহানের জুটিতে
রান দাঁড়ায় ১৫৮।
আফিফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫৮ রানের তোলার পর, বল নিয়ে টাইগাররা
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে চেপে ধরতে অবদান রাখার পরেও জেতা ছিল কষ্টার্জিত। কিন্তু জুলাই এরপর এই টি-২০ ফরম্যাটে
জিততে না পারা বাংলাদেশের
কাছে এই জায়গাটা পরম-স্বস্তি দায়ক। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের কাছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জয়ের
পর থেকে শুরু করে এশিয়াকাপ পর্যন্ত পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশ
টাইগারদের।
১৫৯
রানের টার্গেটে মাঠে নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৪ ওভারে বিনা
উইকেটে ২৭ রান। পঞ্চম
ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম রান আউটে। তারপরেও স্বাগতিকদের খেলায় সমস্যা হচ্ছিল না। সচল রেখেছিল স্কোর বোর্ড। ঠান্ডা মাথায় চালাচ্ছিল দুই ব্যাটসম্যান ২৪ বলে ৩৯
রান করা এই ব্যাটার কে
অষ্টম ওভারে স্টাম্পিং করেন মিরাজ। সুরির ইনিংসে ছিল ৭ টি চার।
ঠিক এই উইকেট পতনের
পরে দৃশ্যপট বদলাতে থাকে আরব আমিরাতের। নিয়মিত
উইকেট পড়েছে স্বাগতিকদের।
নতুন
নামা আয়ান লাকরা সমস্যার কারণ হঢয়ে দাড়ায়। মাথাব্যথার কারণ হতে দেননি মিরাজ। আবার আক্রমণে এসে দশম ওভারে তালুবন্দী করিয়েছিলেন । লাকরা ১৫
বলে ১৯ রান। লাকরার
বিদায়ের পর অধিনায়ক রিজওয়ান
খোলার বার্তা দিচ্ছিলেন। এমন সময় তাঁকেও সাজঘরে পাঠিয়ে স্বাগতিকদের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার অসাধারণ ডেলিভারিতে পতন হয়। তার জন্য অসাধারণ ফিল্ডিং করতে হয়েছে মেহেদী মিরাজকে। রিজওয়ান ফেরেন ৬ বলে ৫
রান করে।
তারপর
ধীরে ধীরে কক্ষপথে থেকে দূরে সরে যেতে থাকে স্বাগতিক দল সংযুক্ত আরব
আমিরাত। বাসিল হামিদ কে ফিরিয়ে পঞ্চম
উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ অরবিন্দকে ডেলিভারীতে নিজেই ক্যাচ আউট করলেন। পরে মনে হতে থাকে বাংলাদেশের জন্য জয় নিশ্চিত।বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের
কারনে, আরো সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। যদিও মিরাজ৩ ওভারে ১৭ রানে ৩
উইকেট নিয়েছেন। শরিফুল ৩.৪ ওভার
করে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। ৩১ রানে ২
উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ।
https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMN2xvwsw6szWAw